নিউজ কচুয়া
কচুয়া উপজেলার সাচার-গৌরিপুর সড়কের ঐতিহ্যবাহী সাচার বাজার অংশে দোকানপাট নির্মাণ করায় স্কুল শিক্ষার্থীরা ও পথচারীরাসহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এই সড়কটি যানবাহনের চলাচলের দিক থেকে খুবই ব্যস্ততম সড়ক। এ ব্যস্ততম সড়কে পথচারী ও শিক্ষার্থীরা নির্বিঘেœ চলাচল সম্ভব হচ্ছে না।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্বিঘেœ চলাচলের জন্য পাকা রাস্তার উভয় অংশে রয়েছে আলাদা রাস্তার অংশ বিশেষ। মূল পাকা রাস্তা থেকে উত্তর পাশে সাচার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও সাচার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি দেয়াল পর্যন্ত প্রায় ৫ফুট রাস্তার অংশ রয়েছে। উক্ত রাস্তার অংশ দিয়ে প্রতিদিন পথচারীরা চলাচল করা ছাড়াও উক্ত দু’টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছাত্র-ছাত্রী চলাচল করে থাকে। বিদ্যালয় দু’টিতে আসার-যাওয়ার জন্য বাউন্ডারি দেয়ালের পূর্ব দক্ষিণ অংশে একটি মাত্র গেইট রয়েছে। এই গেইট দিয়ে যাতায়াত করতে উপরোক্ত রাস্তা ব্যবহার ব্যতিত ভিন্ন কোন রাস্তা নেই। এ ৫ ফুট রাস্তা অংশে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন জনগণের বাধা উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারিতা মূলকভাবে ৭টি টং দোকানঘর নির্মাণ করেছে। এসব টং দোকান নির্মাণ করায় পথচারীসহ স্কুল শিক্ষার্থীরা ব্যস্ততম পাকা রাস্তা ধরে সম্পূর্ন দূর্ঘটনার ঝুঁকিতে চলাচল করছেন। উক্ত টং দোকানঘর নির্মাণ বিষয়ে চেয়ারম্যান মনির হোসেনের বক্তব্য জানার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সাচার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কামরুন্নাহার ভূইয়া ও প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন পাটওয়ারী অভিন্ন মতামত ব্যক্ত করে বলেন, বিদ্যালয়টির দক্ষিণ বাউন্ডারি দেয়াল ঘেষে পথচারীদের চলাচলের জন্য যে রাস্তার অংশ (ফুটপাত) রাখা হয়েছে উহাতে জোরপূর্বক দোকানপাট নির্মাণ করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা ব্যস্ততম পাকা সড়ক ধরে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে চলাচল করতে হচ্ছে। পথচারী ও শিক্ষার্থীদের নির্বিঘেœ চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিগগিরই উক্ত দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা খুবই প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ বলেন, সরকারি রাস্তার অংশে দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায় : মাল্টিকেয়ার